তাদের মা চরিত্রে অভিনয় করেছে রোকেয়া প্রাচী। স্বামী নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে মানসিক এবং শারীরিকভাবে অত্যন্ত বিপর্যস্ত হাবিল-কাবিলের মা। সারাদিনের পরিশ্রম শেষে গ্রামের মানুষের কু-দৃষ্টি দর্শককে এই বাস্তব সমাজের চিত্রই দেখাবে। কারণ, এই সমাজে নারী বড় অসহায়। আর তার একা থাকার সুযোগ নেয় কিছু লোলুপ পুরুষ। সেই পুরুষদের কামুক চাহনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গেই পরিবেশন করেছেন পরিচালক। যেখানে অশ্লীলতা নেই, ইশারা ইঙ্গিতেই তিনি বার্তা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছেন দর্শকদের।
এই দুই শিশুর মধ্যে দারিদ্র নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই। শুধু আক্ষেপ- বাবার নিখোঁজ সংবাদ। যে অবহেলা-অনাদরের মধ্যে তারা বেড়ে উঠছে, সেখানে বাবা থাকলে হয়তো এমন হতো না, এমনই ভাবনা তাদের। এভাবেই গল্প এগোয়। গল্প কোথায় যাবে, কেউ জানে না। দর্শকও জানবে না। গল্পের ভেতর দিয়ে মায়ের অসুস্থতার সময় হাবিল হয়ে ওঠে দায়িত্ববান পুরুষ। গোপন কষ্ট বুকে চেপে, নিজের মধ্যে রেখে দেওয়ার মধ্যেই একজন শিশু যেন পরিণত হয়ে উঠল। এমনই বার্তা দিয়ে গেছে পর্দার গাড়িওয়ালা। জীবনের গাড়ি সম্পর্কে যেই শিশুর বিন্দুমাত্র ধারণা ছিল না, সেই শিশু কষ্টকে আরও না বাড়ানোর দায়িত্ব নিয়ে চালকের আসনেই বসে পড়ে। এখানে শেষ হয় গল্প। তবু থেকে যায় তার রেশ।
Leave A Comment