‘সার্কাস বলুন আর সিনেমা বলুন, ঝুঁকি আমাদের থাকেই। যেখানে আসলে নিরাপত্তার বালাই নেই। এর মধ্য দিয়েই আমাদের কাজগুলো করতে হয়।’ বললেন জয়া আহসান। প্রায় ৫ বছর পরে মুক্তি পাচ্ছে চলচ্চিত্র ‘বিউটি সার্কাস’। জয়া আহসান, ফেরদৌস, তৌকির আহমেদসহ এক ঝাঁক তারকা অভিনয় করেছেন ছবিটিতে। গতকাল সন্ধ্যায় ছবির মুক্তি উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটা বলেছেন জয়া।
নির্মাতা মাহমুদ দিদারের এটি প্রথম ছবি। ৫১ বছরের বাংলাদেশের ইতিহাসে এটাই সার্কাস নিয়ে প্রথম কোনও সিনেমা। যেটি ২৩ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাচ্ছে প্রেক্ষাগৃহে। ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি অডিটোরিয়ামে আয়োজন করা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনের।সেখানে কথা বলেন নির্মাতা মাহমুদ দিদার, কণ্ঠশিল্পী সুমি, অভিনেতা ফেরদৌস ও এবি এম সুমন।
জয়া আহসান বলেন,
‘এই ছবিটি করতে গিয়ে আমি অসাধারণ কিছু অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি। এখানে সার্কাসের অনেক খেলা আমাকে খেলতে হয়েছে। সেগুলো অনেক রিস্কি ছিলো। অথচ এসব না ভেবে চরিত্রের মোহে আমি কাজগুলো কিভাবে কখন করে ফেলেছি, টেরই পাইনি। এখন মনে হচ্ছে বিষয়টি ছিলো অনেকটা না বুঝেই রোলার কোস্টারে চড়ে বসার মতো!’
জয়া জানান, প্রায় দেড় বছর দেশের প্রেক্ষাগৃহে তার নতুন ছবি মুক্তি পাচ্ছে। এর কারণে তিনি আনন্দিতও। তিনি বলেন, ‘বরাবরই আমি নতুন নির্মাতাদের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করি। সেটা আমার ক্যারিয়ারগ্রাফ দেখলেই আপনারা মেলাতে পারবেন।’
জয়া আরও বলেন, ‘দিদার অসাধারণ একজন আইডিয়াবাজ। ওর যে কোনও কাজের সঙ্গে আমি থাকি বা রাখার চেষ্টা করে আমাকে। ও আমার জন্য অসাধারণ একটি চরিত্র লিখেছে। এটা আমার জন্য অনেক সম্মানের বিষয়।’
Blue has no dimensions…💙 pic.twitter.com/x2NiItdmDN
— Jaya Ahsan (@JayaAhsan2) July 21, 2022
সংবাদ সম্মেলনে ফেরদৌস বলেন, ‘দুই যুগ ধরে এই সিনেমায় কাজ করছি। এটাকে ভালোবাসি বলেই কাজটা করছি এখনও। ফলে মানুষ যখন বলে, বাংলা সিনেমা ধ্বংস হয়ে গেছে বা যাচ্ছে। তখন বুকটা কেঁপে ওঠে। মেনে নিতে পারি না। সেজন্য এখন আমার মনে হয়, সার্কাস নিয়ে যেমন সিনেমা হয়েছে, আমাদের চলচ্চিত্র নিয়েও তেমন সিনেমা হওয়া দরকার।’
তিনি আরও বলেন,
‘সার্কাস, যাত্রা হারিয়ে গেছে। অথচ এগুলো আমাদের মূল সংস্কৃতির বড় একটা অংশ ছিল। এর সঙ্গে হাজার হাজার মানুষ জড়িত ছিল। সব হারিয়ে যাচ্ছে। ফলে সিনেমাটাও হারিয়ে যাওয়ার আগে, এটার নানা বিষয় ধরে সিনেমা বানানোর সময় এসেছে।’
তবে খানিক হতাশা ব্যক্ত করেন জয়া আহসান। তিনি বলেন, ‘অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে আমরা এই ছবিটি বানিয়েছি। জানেন তো বাংলাদেশে ছবি নির্মাণ করা…। তাই আজ এখানে দাঁড়িয়ে ভালো লাগছে, কারণ এখন আমরা নিশ্চিত হলাম ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে। হুম, ছবিটি আরও অনেক কিছু হতে পারতো। যেটা হয়েছে সেটাও অনেক বলবো। আশা করছি ছবিটি আপনাদের ভালো লাগবে।’
জয়া জানান, খুব ছোটবেলায় বাবার হাত ধরে কলাবাগান মাঠে একবার সার্কাস দেখতে গিয়েছিলেন। ওটাই প্রথম ও শেষ। এরপর এই ছবির শুটিংয়ে আসল সার্কাস ট্রুপের সঙ্গে তার বসবাস হয়েছে একান্ত ও লম্বা সময় নিয়ে। যা তার জীবনের অনেক বড় অভিজ্ঞতা বলে মনে করেন।
প্রায় দুইশতাধিক নির্মাণসঙ্গী নিয়ে দুই হাজার গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে নওগাঁর সাঁপাহার গ্রামে চিত্রায়িত হয় ‘বিউটি সার্কাস’।
Leave A Comment