বাংলাদেশি অনলাইন পোর্টাল বিডি নিউজ টোয়েন্টিফোরকে ছবির পরিচালক তানভীর মোকাম্মেল জানিয়েছেন এই তথ্য। তিনি জানান, ৩১ ডিসেম্বর ছবির শব্দ পরিকল্পনার কাজে ভারতে যাবেন এই নির্মাতা।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ছবির শুটিং শুরু হয়। আর ঢাকা জেলখানায় শুটিং করার মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রটির দৃশ্যধারণ শেষ হয়। ছবিটির চিত্রগ্রাহক ছিলেন সদ্য প্রয়াত মাহফুজুর রহমান। খুলনার বৈঠাঘাটা ও ফুলতলা উপজেলার গ্রামাঞ্চলে, দৌলতপুর স্টেশনে এবং কুমিল্লায় ছবিটির শুটিং হয়েছে।
সবকিছু গোছাতে আরও দুই মাস লাগবে। এরপর মার্চ মাসে প্রক্ষোগৃহে মুক্তির পরিকল্পনা ছবিটি ঘিরে। চলচ্চিটিতে তিরিশ দশকের স্বদেশী আন্দোলন, তেভাগা আন্দোলন, রাজশাহী জেলের খাপড়া ওয়ার্ডে বামপন্থীদের হত্যার ঘটনাগুলো একজন বিপ্লবীর জীবনের প্রেক্ষাপটে তুলে আনা হবে।
তানভীর মোকাম্মেল বিডি নিউজ টোয়েন্টিফোরকে বলেন, দেশে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজপ্রগতির আন্দোলনে বামপন্থীদের অনেক ভূমিকা ছিল। কিন্তু তাদের কথা কেউ তেমন বলে না। কিছু কিছু বামপন্থী নেতার ত্যাগ-তিতীক্ষা ও সাংগঠনিক দক্ষতা ছিল প্রবাদতুল্য। ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে এরা কেউ কেউ বিশ-পঁচিশ বছর জেল খেটেছেন। এ ধরনের কিছু পুরনো বামপন্থি নেতাকে আমি কাছ থেকে দেখেছি। তাদেরই একজনের কাহিনি এটি। এ মানুষটিকে ১৯৭১ সালে রাজাকাররা গুলি করে মেরে ফেলে।
বামপন্থী সেই নেতার বিভিন্ন বয়সের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান শোভন, খায়রুল আলম সবুজ ও তওসিফ সাদমান তূর্য। ছবিতে একজন পুলিশ সুপারের চরিত্র করেছেন ব্রিটিশ অভিনেতা অ্যান্ড্রু জোনস।
Leave A Comment