আলোচিত ও সমালোচিত ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’ বাংলা সিনেমা। ছবির নায়ক-নায়িকা মামুন ও শিমলা। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে আটকে দেওয়ার পরে ছবিটি মুক্তি দেওয়া হয় ইউটিউবে। ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’ চলচ্চিত্রটির বিরুদ্ধে অশ্লীলতার অভিযোগ আনা হয়।

আসলে কতটুকু অশ্লীলতা আছে সেখানে? কিংবা এমন ছবি কি আর কোথাও বানানো হয়েছে? তা নিয়ে বিস্তার আলাপ ওঠা জরুরি। সেই আলাপেরই খানিক সূচনা এই লেখা।

আজ নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প সিনেমা নিয়ে কথা বলার আগে, চলুন ইউটিউবে ছবিটি দেখে দর্শকের করা কিছু মন্তব্য জেনে আসি।

নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প ছবিতে শিমলা ও মামুন। ছবি: সংগৃহীত

এক নজরে নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প

এক নজরে ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’ বাংলা ছবির পর্যালোচনা। নির্দিষ্ট সেকশনে যেতে লিংকে ক্লিক করুন।

‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’ সিনেমা নিয়ে ইউটিউব মন্তব্য

‘লাস্ট ১০ মিনিট দেখার জন্য পস্তুত ছিলাম না অনেক কষ্টের, যার হারায় সেই বুঝে হারানোর কষ্ট।’

‘হায়রে ভালোবাসা। কতো কষ্ট কতো না পাওয়া আর কতো দীর্ঘশ্বাস। অসাধারণ একটি ছবি। হয়তো সিনেমা হলে কখন ও দেখা হতো না। দেখতে না পারলে,মিস হয়ে যেতে এতো সুন্দর ছবি টা।’

‘অসাধারণ। দারুণ গল্প। আমি বুঝলাম না বাংলাদেশে কত অশ্লীল ছবি মুক্তি পায়, নানান রকম ফালতু ছবি ছাড়পত্র পায় অথচ এ ছবি ছাড়পত্র পেল না কেন? সময় উপযোগী গল্প নিয়ে আসছে পরিচালক। পরিচালক কে বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানাই। আশা করছি সামনে ভিন্ন ধারার গল্প নিয়ে আসবে।সে প্রত্যাশা রইলো।’

‘আগের গল্পে পরিবর্তন আনা হয়েছে । অধিকাংশ অংশই নতুনভাবে ধারণ করা মনে হয়েছে । তবুও, সব মিলিয়ে চমৎকার লেগেছে । শুভ কামনা রইল এ ছবির সাথে সংশ্লিষ্ট সবার জন্য । আমার কাছে কোনভাবেই এ সিনেমার কোন অংশ অশ্লীল মনে হয়নি শুধু অকারণে কিছু গালিগালাজ ছাড়া । জয় হোক সুস্থ ধারার বাংলা চলচ্চিত্রের।’

‘বাজে সিনেমা ভেবে ভুল করবেন না। অনেক কিছুই শেখার আছে।’

‘ছবির গল্প এবং লাস্ট ফিনিশিং দারুণ হয়েছে অবশ্য গল্পের সাথে বাস্তবতার মিল থাকলেও পরিণতিটা হয়েছে সিনেমাটিক! সব মিলিয়ে খুব ভাল হয়েছে তবে সংলাপগুলি ইচ্ছা করলে আরেকটু শালীনতার মধ্যে রাখা যেতো।’

‘অরুনা বিশ্বাস এই ছবিকে অখাদ্য বলেছে। কিন্ত না। ১০ বছর আগের গল্প।বাস্তব গল্প। বাস্তব বাদ দিয়ে আমরা কেউ সমাজের নই।’

‘সিনেমার নাম শুনে আর বাংলা সিনেমা ভেবেই দেখার ইচ্ছা ছিলনা কিন্তু দেখে যা বুঝলাম ভিতরটা অনেক সুন্দর। Don’t judge e book by It’s cover. সিনেমাটা তারই প্রমাণ। গল্প ও ডিরেকশন অসাধারন যুগোপযোগী। তবে চাইলেই কিছু অশ্লিল রগ রগে দৃশ্য আর সংলাপ এড়িয়ে যাওয়া যেত।’

‘আসলে আমাদের বয়োঃসন্ধীক্খনের বাস্তব চিত্র ফুটিয়ে তুলছে।’

এগুলো ছিল নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প ছবিটি দেখে দর্শকের প্রতিক্রিয়া। ইউটিউবে ছবি মুক্তির একটা বড় ব্যাপার হলো, এখানে দর্শক তার প্রতিক্রিয়া সরাসরি জানাতে পারেন। আর উপরের ইউটিউব মন্তব্যগুলো পড়ে বোঝা গেল ছবিটি কেমন হয়েছে। নতুন করে আর বলার দরকার পড়ে না।

তবুও ছবিটি নিয়ে পর্যালোচনার দরকার আছে। কারণ সেন্সর বোর্ড যে ছবিটিকে সেন্সর সনদ দেয়নি সেই ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’ বাংলা মুভিটি হয়ে উঠতে পারত বয়ঃসন্ধিকালীন যৌন ফ্যান্টাসি নিয়ে একটা অসাধারণ সিনেমা।

নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প ছবির ইউটিউব মন্তব্য

নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প ছবির ইউটিউব মন্তব্য। গ্রাফিক্স: সিনেঘর

নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প সিনেমার কাহিনি

রুবেল আনুশের তাঁর ছবির জন্য যে কাহিনিটি নিয়েছেন তা বহু চর্চিত। তবে বাংলাদেশে এমন গল্পের ছবির কথা খুব কম শোনা গেছে। এমনকি নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প বাংলা ছবির মতো, এমন প্লটের গল্প নিয়ে ছবি তৈরি হয়নি বললেই চলে।

কারণ যৌনতা নিয়ে বাংলাদেশের সমাজে এক ধরণের ট্যাবু আছে। যে কারণে সিনেমা থেকে শুরু করে থিয়েটার, গান কিংবা যেকোনো পারফরম্যান্স আর্টসে যৌনতা খুব কম এসেছে। যা এসেছে তাও এসেছে বিভিন্ন মোড়কে, আংশিক উপস্থাপিত হয়ে।

এ ছাড়া যৌনতাকে পুঁজি করে একটা সময় সিনেমাতে অশ্লীলতা নিয়ে আসে একদল নির্মাতা ও প্রযোজক। একটা কথা মনে রাখতে হবে, যৌনতা আর অশ্লীলতা এক নয়। যৌনতা মানুষের আদিম অনুভূতিগুলোর একটি।

সুতরাং পরিচালক রুবেল আনুশ তাঁর গল্পের প্লট হিসেবে যৌনতাকে বেছে নেওয়া নিঃসন্দেহে সাহসী পদক্ষেপ। তবে যৌনতাকে পর্দায় উপস্থাপন চাট্টিখানি কথা নয়। সংবদেনশীল না হলে, বিপদ ঘটতে পারে। একটু এদিক ওদিক হয়ে গেলে অশ্লীলতায় রূপ নিতে পারে। ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’ ছবিটি কি অশ্লীল? সে ব্যাপারে পরে আসছি।

এই ছবির গল্পটি একদমই জানা গল্প। কিংবা বলা যায়, আপনার-আমার গল্প। শৈশবে বয়ঃসন্ধিকালীন যৌন ফ্যান্টাসিকে তুলে ধরতে চেয়েছেন পরিচালক। এটা ধরতে একটি গল্প বেছে নিয়েছেন। যেখানে দেখা যায়, ১৫ কি ১৬ বছরের একটি ছেলের প্রায় ৪০ বছর বয়সী এক নারীর প্রতি মোহবিষ্ট হওয়ার কাহিনি।

এমন গল্পের ও প্লটের ছবি পৃথিবীতে অনেক হয়েছে। তবে এখানে আমি দুটো ছবির উল্লেখ করতে চাই। যে দুটো ছবি বেশ পরিচিত ও জনপ্রিয়। ছবি দুটোর গল্পের সঙ্গে এই ছবির প্লটেরও বেশ মিল।

নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প ছবির মতো আরও ২৫টি ছবির তালিকা ডাউনলোড করুন এখানে

হিন্দি ছবি ‘এক ছোটিসি লাভ স্টোরি’ মুক্তি পেয়েছিল ২০০২ সালে। মনীষা কৈরালা ও আদিত্য সিল অভিনয় করেন ছবিটিতে। পরিচালক ছিলেন শশীলাল কে নায়ার। এই ছবিকে অনুসরণই বলা যায় আনুশের ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’ সিনেমাটি।

আগেই বলেছি এমন ছবি প্রচুর হয়েছে। কারণ এক ‘ছোটিসি লাভ স্টোরি’ও পোলিশ মাস্টার ফিল্মমেকার ক্রিস্তফ কিওসলভস্কির ‘আ শর্ট ফিল্ম অ্যাবাউট লাভ’ থেকে অনুপ্রাণিত।

এখানেই শেষ নয় ২০০০ সালে ইতালির পন্ডিত নির্মাতা জুইসেপ্পে তোরনাতোরে বানান অস্কার ও বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে মনোনীত সিনেমা ‘মালেনা’। এই ছবির প্লটও একই। ছবিতে অভিনয় করেন সে সময়ের লাস্যময়ী নায়িকা মনিকা বেলুচ্চি।

নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প ছবির কাহিনি আগে যেসব ছবিতে ব্যবহার করা হয়েছে।

নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প ছবির কাহিনি আগে যেসব ছবিতে ব্যবহার করা হয়েছে। গ্রাফিক্স: সিনেঘর

অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠতে পারে যে, এই ছবি তিনটির কথা কেন উল্লেখ করলাম। তাদের বলি, পৃথিবীতে এই ধরনের থিম ও গল্প নিয়ে প্রচুর সিনেমা বিশ্বব্যাপী সমালোচক ও দর্শকের কাছে সমাদৃত ও প্রশংসিত হয়েছে।

সুতরাং ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’ বাংলা মুভিটিকে আলাদাভাবে দেখার কিছু নেই। বরং ভালগারিজম, অশ্লীলতা হিসেবে না দেখে, সিনেমা হিসেবেই দেখি ও আলাপ করি।

কতটুকু নিষিদ্ধ ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’ মুভি

এই প্রশ্নে ছবিটিকে নানাভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। কিংবা ছবিটির সঙ্গে আগের ছবিগুলোর একটা তুলনামূলক ব্যাখ্যা দিয়ে, ছবিটি কতটুকু এই ঘরানার ছবিতে জায়গা করতে পারল, সে আলাপ করা যায়।

কিন্তু আজকের আলাপে আমরা ওদিকে যাব না। কারণ আমরা জানি, কতটা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে একটা ছবি বানাতে হয় এখানে। কত টাকা বাজেট থাকে, ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা কত খারাপ কিংবা ছবিতে একজন প্রযোজক যুক্ত করা কতটা কঠিন। সুতরাং আমরা হালকা চালে ছবিটির কিছু দিক নিয়ে আলাপ করব।

‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’ বাংলা সিনেমার সংলাপ

এই ছবিটি সংলাপের ক্ষেত্রে একটা অসাধারণ ভূমিকা রাখতে পারত। কিন্তু ছবির সবচেয়ে দূর্বল জায়গাটি ধরা পড়ল সংলাপে।

কারণ যৌনতা যেহেতু আদিম ও পুরোনো সহজাত একটা অনুভূতি, এই বিষয়টি নিয়ে যুগ যুগ ধরে নানা দর্শন ও কাব্য তৈরি হয়েছে। একটু চোখ কান খোলা রেখে সংলাপগুলো রচনা করলে ছবির মানটা বদলে যেত।

শুধু যৌন সম্পর্কিত শব্দ দিয়েই তো আর যৌনতা বোঝাতে হয় না। নানাভাবে শব্দে যৌনতাকে উপস্থাপন করা যায়। তার জন্য চাই গভীরভাবে বিষয়টিকে বুঝতে পারা।

সংলাপ যেমন একটা সিনেমাকে টেনে তরতর করে উপরে ওঠাতে পারে, তেমনি আবার খাদেও নামিয়ে ফেলে। এই ছবিটিকে নিচে নামাবার অন্যতম কারণ সংলাপ।

বিশেষ করে কিছু সংলাপ বেশ অশালীন। শিল্পে কী করে মন্দ শব্দ যুক্ত করতে হয়, তার কায়দা জানতে হয়। না হলে সেটা অশালীন হয়ে যায়। বিশেষ করে ছবিতে নারীর স্তন বোঝাতে ‘ডাব’ শব্দের ব্যবহার অশালীন ও অসৌজন্যও বটে।

এদিকে সচেতন ও যত্ন নেওয়ার দরকার ছিল। এ ছাড়া পুরো ছবিতে কোথাও এমন সংলাপ নেই, যা কিছুক্ষণ দর্শককে ভাবিয়ে তুলতে পারে।

নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প ছবিতে অভিনয় করেছেন শিমলা ও মামুন।

নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প ছবিতে অভিনয় করেছেন শিমলা ও মামুন। ছবি: সংগৃহীত

নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প চলচ্চিত্র নির্মাণ

রুবেল আনুশ টেলিভিশনে নির্মাণে অভ্যস্ত। দীর্ঘদিন তিনি নাটকের সহকারী পরিচালক ও পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন। যে কারণে তাঁর ছবিতে নাটকের ফ্রেমের ব্যবহার বেশ চোখে পড়ল।

এটা শুধু রুবেল আনুশ নয়, বেশিরভাগ টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রি থেকে উঠে আসা নির্মাতার বেলায় কথাটি খাটে। এ দিকটাতে নজর দিতে পারলে ভালো হতো।

কারণ সিনেমা একটা বিশাল ক্যানভাস। আর টিভি একটি ক্লোজআপ মিডিয়া। তবে হ্যাঁ কিছু কিছু ফ্রেম যে ভালো লাগেনি এমনটি নয়। ক্যামেরার কাজ খুব একটা আহামরি নয়। এমন শট নেই যেটা মনে রাখা যায়। তবে চলনসই।

মেকআপের ক্ষেত্রে অনেক সময় অতিরঞ্জিত লেগেছে। রাস্তায় গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পরে নায়িকার রক্তমাখা চেহারা বিভৎস ছিল। আরও সাবলীলভাবে করা যেত।

নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প বাংলা সিনেমার অভিনয়

এই ছবির কেন্দ্রীয় দুই চরিত্র মামুন ও শিমলা। মামুনকে আমরা চিনি হুমায়ূন আহমেদের ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ দিয়ে। এই ছবিতে মামুনের অভিনয় খারাপ নয়। তবে গ্রুমিং করলে ভালো করত।

মামুনের বয়সও সে যে চরিত্রটি করেছে, তার কাছাকাছি হবে। সুতরাং অভিনয় নয়, অনুভূতিগুলোকে ধরার চেষ্টা হলে হয়তো ভালো হতো। অনুভূতিগুলো আরও যত্ন সহকারে উঠে আসত।

শিমলাও খারাপ করেননি। ‘ম্যাডাম ফুল‘খ্যাত এই অভিনেত্রীর এমন সিনেমা বাছাই প্রংশসার দাবিদার। তবে দুজনের মধ্যে একটা অদৃশ্য কেমেস্ট্রির দরকার ছিল। যেটি খুব কৃত্রিমভাবে উঠে এসেছে।

তবে সবচেয়ে অভিনয় চোখে লেগেছে এই ছবির দ্বিতীয় নায়িকার। যে না দেখা একটা ছেলের সঙ্গে প্রেম করে। মেয়েটি বেশ সাবলীল অভিনয় করেছে। বিশেষ করে ওই চরিত্রটি থেকে আলাদা করা যায়নি।

নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প ছবিতে অভিনয় করেছেন শিমলা ও মামুন

নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প ছবিতে অভিনয় করেছেন শিমলা ও মামুন। গিফ: সিনেঘর

যেখানে দুর্বল ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’

এই ছবির মূল ফোকাস যৌন অনুভূতি। যার সঙ্গে যৌন অসদাচারের কোনো যোগ নেই। কিন্তু ছবির সাব প্লটগুলোতে বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে এমন কিছু টুকরো গল্প আনা হয়েছে, যা ছবির মূল ফোকাসকে দুর্বল করে দেয়।

কারণ আগেই বলেছি, যৌনতা এমন একটি বিষয়, যাকে ঠিকঠাক তুলে ধরতে না পারলে হোঁচট খাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। রুবেল আনুশের বেলায় ঠিক তেমনটি ঘটেছে।

আমরা শিমলাকে কেন্দ্র করে মামুনের বয়ঃসন্ধিকালীন মানসিক সমস্যাটাকে দেখতে পারতাম। যা প্রায় প্রত্যেক পুরুষের বেলায়ই শৈশবে ঘটে থাকে। এবং এটা খুব স্বাভাবিক একটি বিষয়।

কিন্তু এই গল্পের সাব প্লটে যখন আমরা যৌন কামনায় বিভোর দুই নর-নারীর প্রেম দেখি, গলির ঘুপচিতে তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্ত দেখি, তখন মূল গল্পের শক্তিটা কমে যায়।

দর্শকের কাছে বয়ঃসন্ধিকালীন সমস্যাটি আস্তে আস্তে অবদমিত যৌন কামনার দিকে রূপ নেয়। সুতরাং নির্মাতা অন্য সাব প্লট না এনে কেবল মূল গল্পের দিকে পূর্ণ মনযোগ দিতে পারতেন।

‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’ বাংলা ছবির গান কেমন

ছবির গান যুতসই। অতটা প্রংশসা পাওয়ার মতো নয়। তবে কিছু জায়গায় বেশ উঁচু গ্রামের মনে হয়েছে। গানকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনুভূতিগুলোকে আরও জোড়ালোভাবে মানুষের মনে পৌঁছে দিতে ব্যবহার করা হয়েছে।

সবকিছু মিলে বলতে চাই, নানা সংকট পেরিয়ে এমন একটি গল্প নিয়ে কাজ করাই সাহসের ব্যাপার। রুবেল আনুশ সেটি দেখিয়েছেন।

তবে সিনেমা একটা বড় ক্যানভাসের শিল্প। তার জন্য আরেকটু যত্ন আত্তি থাকা চাই। এমন ঘরানার গল্প আরও আসুক। মানুষের নিজেদের গল্প উঠে আসুক ছবিতে।

আনুশ সামনের ছবিতে এমনই গল্প নিয়ে আসবেন। দর্শকেরাও সিনেমা হল হোক কিংবা ওটিটি, অনলাইন, ইউটিউব-বাংলা সিনেমা দেখুন। আলোচনা করুন। ছড়িয়ে দিন।

অনেকেই ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’ movie download করতে চেয়ছেন। এর কোনো দরকার নেই। কারণ ছবিটি ইউটিউবে লাইভ রেডিও চ্যানেলে দেখা যাচ্ছে।