পুলিশকে নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই উপমহাদেশে। বিশেষ করে ভারত ও বাংলাদেশে পুলিশ যেন গণশত্রু। সেই ধুরন্ধর পুলিশ নিয়েই ছবির গল্প। সিনেমার টিকেট ব্ল্যাকার থেকে থানার পুলিশ ইনচার্জ। তারপর শুধু টাকা খাওয়ার ধান্দাবাজি। একনামে সবাই চেনে সিম্বাকে।
তবে এতটুকুতেই ছবির গল্প শেষ করে দেননি অ্যাকশন থ্রিলার ঘরানার মাসালা ছবির অন্যতম কারিগর রোহিত শেঠি। কাহিনি ঘুরিয়েছেন নানা কায়দায়। একদিন তাই এই ধান্দাবাজ পুলিশই বুঝতে পারে জনগণের বেদনা। তখন সে হয়ে ওঠে জনগণের সত্যিকারের সেবক।
চলচ্চিত্র: সিম্বা
পরিচালক: রোহিত শেঠি
কলাকুশলী: রণবীর সিং, সারা আলী খান, সনু সুদ
দেশ: ভারত
সাল: ২০১৯
রেটিং: ২/৫
একেবারেই বলিউডের কাঠামোবদ্ধ সিনেমা। যাকে মোটাদাগে বলা যায় বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র। একটু খানি অ্যাকশন, একটু খানি গান, একটু খানি অভিনয়, একটু খানি অতি অভিনয়, একটু খানি নায়িকার আগমন, একটু খানি দ্বন্দ্ব, একটু খানি উত্তেজনা সবকিছু পাওয়া যাবে এই ছবিতে।
রোহিত শেঠি পাকা হাতের খেলোয়াড়। তাই পুলিশ কেন্দ্রীক ছবি করার সত্ত্বেও খুব একটা বিরক্ত হবেন না, বিশেষ করে যারা মাসালা ছবির ভক্ত।
প্লট
তবে এই ছবির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক ছবির প্লট। ছবির প্লট বাছতে রোহিত একেবারেই মোক্ষম জায়গায় হাত দিয়েছেন। এই সময়ে ভারতের সবচেয়ে জ্বলজ্বলে ইস্যু ধর্ষণ। আর সেই বিষয়কে কেন্দ্র করেই ঘুরছে ফিরেছে ছবির কাহিনি। ধর্ষণ ভারতের মহামারি আকার ধারণ করা একটি বিষয়।
View this post on Instagram
কিছুতেই যেন নিস্তার পাওয়া যাচ্ছে না। খবরের কাগজ খুললেই এ খবর চোখে ভাসে। এই মহামারি ফেরাতে উপায় কী? রোহিত মোটা দাগে যেন সে কথা কিছুটা বলেও দিলেন। ছবির শেষের দিকে তাই সংলাপ থাকে, ধর্ষকদের এমন শাস্তি দেওয়া উচিত যাতে ওদের মনে ভয় ধরে যায়।
পুলিশ ফ্রাঞ্চাইজি
View this post on Instagram
Leave A Comment