গল্প সংক্ষেপ
পাহাড়ি আদিবাসী অধ্যুষিত এক গ্রামের বার্ষিক অনুষ্ঠানে হামলা চালায় একদল স্বার্থান্বেষী। তারা কে বা কারা তা কেউ জানে না। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী পুষ্প সেই গ্রামের এক নেতার মেয়ে। প্রতি বছরের মতো এবারও ছুটিতে এলাকায় এসেছেন। কিন্তু এই ঘটনায় ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেবার পাশাপাশি সেই দলটি মেরে ফেলে পুষ্পের বাবাকেও। পুষ্প পালিয়ে যায়। ঘটনাক্রমে আলোকচিত্রী আশফাক ছবি তোলার কাজে সেই গ্রামেই ছিলেন। তার ক্যামেরায় ধরা পড়ে এই হামলার সাথে জড়িতদের কিছু প্রমাণ। এটা দেখে ফেলে শত্রু পক্ষ। পালিয়ে যান আশফাক এবং দেশের কথা ভেবে ক্যামেরার মেমোরি কার্ডটি হস্তান্তর করেন একজনের কাছে।
সিনেমার শুরুতেই আমরা দেখি, আরমান পাশের গ্রামে যাবার আগেই পালিয়ে আসা পুষ্প ও সাথে থাকা তিতলির সাথে দেখা হয়। শত্রুরা আক্রমণ করলে সে তাদের নিয়ে নিজের গ্রামে আসে এবং বড়ভাই ইরফানের কাছে আশ্রয় চায়। ইরফান তাকে তরুছায়া সংগঠনের ফ্লোরার কাছে রাখে। আহসানউল্লাহর রাজনৈতিক সব তদারকি করে ইরফান। উপরমহল থেকে আহসানের উপর চাপ বাড়ে এবং সে পুষ্পের সাথে আলাপ করেও খুব একটা কিছু উদ্ধার করতে পারে না। মরার উপর খাড়ার ঘা হয় স্থানীয় হাতপাতালে এক বোমা হামলা। সেখানে মারা যায় বাচ্চা মেয়ে তিতলি আর আহসানের লোকসহ অনেক নিরীহ মানুষ। এডিসি নজরুল এসব কিছুর পেছনে আহসানের লোকদের হাত আছে বলে প্রমাণ করে, কিন্তু আহসান তা অস্বীকার করে। আরমান হামলার সাথে জড়িত একজনকে চিনে ফেলে ও তাকে ধরতে গিয়ে ফেঁসে যায়। এর মাঝে আততায়ীরা ফ্লোরা আর আরমানের মাকেও মেরে ফেলে। পালিয়ে যেতে গিয়ে এনকাউন্টারে পড়ে যায় আরমান। ইরফান পুষ্পকে সামনে রেখে ভাই আহসানের বিরুদ্ধে লোক খেপিয়ে তোলে হত্যার বিচারের দাবিতে। আরমান জনগণের সামনে মারা গেলেও এডিসি নজরুলের হাতে তৈরি হয় কালাচান নামে পরিণত এক যোদ্ধায়। বিভিন্ন ঘাত পেরিয়ে ছদ্মনামে কালাচান বের করে সেই মেমোরি কার্ডের অবস্থান। কিন্তু জানতে পারে না তখনও কে আসলে এতগুলো খুন আর ফটোগ্রাফার গুমের পেছনে দায়ী। আপনাকে সেটা জানতে হলে হলে পুরোটা ছবিটা দেখতে হবে শেষ দৃশ্য পর্যন্ত ।
মূল কলাকুশলী
অন্যান্য শিল্পী
রচনা
গোলাম সোহরাব দোদুল
সংগীত
সংগীতশিল্পী
প্রযোজনা
বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া
Leave A Comment